রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭ অপরাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ অনলাইন ডেস্ক : আগামী অর্থবছরের (২০১৯-২০) জন্য বাজেটে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার ৯২১ কোটি টাকা ও বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এডিপিতে পদ্মাসেতু ও পদ্মাসেতুতে রেল সংযোগসহ সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে পরিবহন খাতে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিদায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এরপর আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে উত্থাপন তিনি।
বিকেল ৩টার দিকে বক্তৃতা শুরু করেন মুস্তফা কামাল। এর আগে, প্রথা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংসদ অধিবেশন কক্ষে যান অর্থমন্ত্রী। এরপর, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
অধিবেশনের শুরুতেই স্পিকারের অনুমতিসাপেক্ষে বাংলাদেশের বাজেট ইতিহাস নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বাজেট পেশের অনুমতি নিয়ে প্রথমে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন মুস্তফা কামাল। এরপর ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শীর্ষক ১০০ পৃষ্ঠার ২০১৯-২০ সালের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করা হয়।
প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু ও পদ্মাসেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় পরিবহন খাতে বরাদ্দ ৫২ হাজার ৮০৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, অন্যদিকে বিদ্যুৎ খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ ২৬ হাজার ১৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা। ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ন খাতে তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ ২৪ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা।
‘এছাড়া, শিক্ষা ও ধর্ম খাতে চতুর্থ সর্বোচ্চ বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৩৭৯ কোটি ১২ লাখ টাকা, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণসহ বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ, প্রযুক্তি খাতে পঞ্চম সর্বোচ্চ বরাদ্দ ১৭ হাজার ৫৪১ কোটি ২৬ লাখ টাকা।’
মুস্তফা কামাল বলেন, বাজেটে পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাতে ১৫ হাজার ১৫৭ কোটি ৪০ লাখ, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, জনসংখ্যা ও পরিবারকল্যাণ খাতে ১৩ হাজার ৫৫ কোটি ৪৭ লাখ, কৃষি খাতে ৭ হাজার ৬১৫ কোটি ৯৩ লাখ, পানিসম্পদ খাতে ৫ হাজার ৬৫২ কোটি ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।